Call: 01797-504030 / 01757-102960 | Email: bduniqueit@gmail.com

Monday, June 1, 2015

Buy Best Laptop Tips

 ল্যাপটপ কিনতে যাচ্ছেন?

laptop-tips
Buy Best Laptop

নতুন ল্যাপটপ কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন? যাচ্ছেন কিনতে? বাজারে রয়েছে অনেক ল্যাপটপ। এগুলোর মধ্য থেকে হঠাৎ করেই এমন একটি ল্যাপটপ কিনে ফেললেন।  পরে দেখা গেল সেটি আপনার উপযোগী নয়। তাই ল্যাপটপ কিনতে যাওয়ার আগেই পরিকল্পনা সেরে নেওয়া ভালো।
 
প্রয়োজন বুঝে নিন
প্রথমেই চিন্তা করুন, ল্যাপটপ দিয়ে কী করবেন। এটি সঠিকভাবে বের করতে পারলে ল্যাপটপ কেনার কাজটি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। ল্যাপটপ কম্পিউটার দিয়ে অনেক কাজ করা যেতে পারে, তবে সাধারণভাবে কাজগুলোকে এভাবে ভাগ করা যায়:
অফিস ও পড়াশোনার কাজে—মূলত অফিস ঘরানার সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেখালেখি, হিসাব কষা, প্রেজেন্টেশন তৈরি এবং অফিস ও শিক্ষার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়।
গেম খেলা—সর্বশেষ গেমগুলো খেলা, এর পাশাপাশি অন্য কাজগুলোও করা যায়।
ওয়েব ব্যবহার—ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা, ই–মেইল, ভিডিও স্ট্রিমিং ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো ব্যবহার করা যায়।
মিডিয়া প্রোডাকশন—ছবি, অডিও, ভিডিও ক্যাপচার, সম্পাদনা ইত্যাদি কাজ করা।
 
সুবিধা-অসুবিধা জানুন
ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপ ব্যবহারে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এটি কখনোই বলা যায় না, সব কাজের বেলায় ল্যাপটপ ডেস্কটপের বিকল্প হতে পারে। সুবিধার মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ সহজে বহন করা যায়। ডেস্কটপের প্রায় সব কাজই এখানে করা যায় ল্যাপটপে, কম বিদ্যুৎ খরচ ও কম জায়গা লাগে।
ল্যাপটপ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি ব্যাটারিতে চলে। তবে সব সময় বহন করা হয় বলে এটি চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং দুর্ঘটনায় পড়ে এর ক্ষতি হতে পারে। ল্যাপটপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চাইলেই পরিবর্তন করা যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ল্যাপটপ হালনাগাদ নাও হতে পারে।
 
এবার আসুন বাজেটে
ল্যাপটপ কেনার জন্য কত টাকা খরচ করবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন।
 
অপারেটিং সিস্টেম কোনটা
অপারেটিং সিস্টেম হলো কম্পিউটারের চালক সফটওয়্যার, যার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য আরও প্রোগ্রাম ব্যবহার করা যায়। অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে প্রচলিত হলো উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স ও ক্রোম। ল্যাপটপ কেনার সময়ই সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে। ল্যাপটপ কেনার পর আলাদাভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা যাবে। সাধারণ কাজের জন্য এটি অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। তবে ম্যাক ওএস ব্যবহারের জন্য অ্যাপল ম্যাক যন্ত্রের দরকার হবে। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। যেকোনো ধরনের হার্ডওয়্যারেই লিনাক্স ব্যবহার করা যায়। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন সংস্করণ পাওয়া যায়, যেগুলো ডিস্ট্রো নামে পরিচিত। যেমন উবুন্টু, ফেডোরা, রেড হ্যাট ইত্যাদি। গুগল ক্রোম ব্রাউজারের ওপর ভিত্তি করে ক্রোম ওএস তৈরি করা হয়েছে। ওয়েবভিত্তিক কাজগুলো করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটারে কী ধরনের কাজ করা হবে, তার ওপর ভিত্তি করেও অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করা যেতে পারে। যেমন: ছবি, অডিও, ভিডিও সম্পাদনার সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য লিনাক্সের তুলনায় ম্যাক ও উইন্ডোজে সুবিধা বেশি। ওয়েবসাইট তৈরি ও অন্যান্য কারিগরি কাজের জন্য অনেকেই লিনাক্স ও ম্যাক ব্যবহার করে থাকেন। আবার যাঁরা গেম খেলার জন্য কম্পিউটার কিনছেন, তাঁদের জন্য উইন্ডোজই হবে সেরা অপারেটিং সিস্টেম।
 
মডেল নির্বাচন
ল্যাপটপের ধরন, পর্দার আকারসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এর মডেল নির্বাচন করতে হবে। সাধরণভাবে এই সময়ের ল্যাপটপগুলো নেটবুক, নোটবুক বা ল্যাপটপ, হাইব্রিড ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট, ডেস্কটপের বিকল্প আলট্রাবুক—এই চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বেছে নিতে হবে নতুন ল্যাপটপটি।
 
বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নেওয়া
ল্যাপটপ কেনার আগে এর বৈশিষ্ট্যগুলো যাচাই করে নেওয়া উচিত। বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে দামেও পার্থক্য তৈরি হয়। তবে একই দাম হলেও আলাদা মডেলের ল্যাপটপে আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকবে।
প্রসেসর হলো কম্পিউটারের এমন একটি অংশ, যার মাধ্যমে সব ধরনের প্রসেসিং করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের প্রসেসরগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারের কাজগুলো সহজেই করা সম্ভব। ল্যাপটপ কেনার সময় সেলেরন, অ্যাটম, পেন্টিয়াম, সি, ই ইত্যাদি সিরিজের প্রসেসরগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
 
র্যাম ও মেমোরি
কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করা হয় র্যাম বা মেমরির ওপর ভিত্তি করে। মেমোরি যত বেশি হবে কম্পিউটার তত দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবে।
গ্রাফিকস প্রসেসর: গ্রাফিকস, অডিও সম্পাদনা, অ্যানিমেশনের মতো কাজগুলো করার জন্য যদি ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়, তবে একটি ভালো মানের গ্রাফিকস প্রসেসর যুক্ত রাখা প্রয়োজন।
হার্ডডিস্ক: কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণের জন্য যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় তার নাম হার্ডডিস্ক। হার্ডডিস্কের আকার বেশি হলে একই সঙ্গে বেশি তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। অধিকাংশ ল্যাপটপেরই হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করা যায়, ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন হার্ডডিস্ক সংযোজন করা যাবে। এসএসডি নামের নতুন ধরনের একটি ডিস্ক রয়েছে। সাধারণ মানের হার্ডডিস্কের তুলনায় বেশি গতিসম্পন্ন এই হার্ডডিস্কগুলো সাধারণ হার্ডডিস্কের তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
 
পর্দার রেজ্যুলেশন
কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের পর্দা রেজ্যুলেশন নির্বাচন করা উচিত।

সূত্র: উইকিহাউ

0 comments:

Post a Comment